বাংলায় লেখার সময় ব্যক্তি-নামের আগে সম্মানসূচক শব্দ হিসেবে কি বসাতে হবে সেটা নিয়ে আমরা অনেকেই বেশ ধন্ধে পড়ি। একবার পড়ে নিন, সমস্যার পার্মানেন্ট সমাধান হয়ে যাবে।


১) শ্রী শ্রী :- ঈশ্বর,দেবতা এবং দেবতাতুল্য মানুষের ক্ষেত্রে নামের আগে ব্যবহার করা হয়। যেমন -আমরা স্কুলে খাতায় লিখতাম “শ্রী শ্রী সরস্বতী মাতা সহায়”।

২) শ্রী :- যেকোনো বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রে শ্রী ব্যবহার করা হয়।যেমন – শ্রী বিমল সরকার ইত্যাদি ।

৩) শ্রীমান :- বালক এবং যুবকদের ক্ষেত্রে। শ্রীমান শব্দটি সাধারণত সাধু, পুরোহিত,সন্ন্যাসীরা কাউকে নাম ধরে ডাকার পরিবর্তে শ্রীমান শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।

৪) শ্রীমতী :- সাধারণত বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে।আজকাল কুমারী ব্যবহার উঠে যাচ্ছে। অবিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রেও শ্রীমতী ব্যবহার হচ্ছে। (দ্রষ্টব্য: শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)

৫) সুশ্রী :- এটি অবিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে বাংলার বাইরে সারা ভারতেই ব্যবহৃত হয়।(যেমন সুশ্রী উমা ভারতী বা জয়ললিতা)

৬) শ্রীযুক্ত :- বয়স্ক বিশেষ করে মান্যগণ্য মানুষের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়।৪০-৫০বছর বয়সী বিশেষ করে মান্যগণ্য মানুষের ক্ষেত্রে শ্রীযুক্ত উপাধি দ্বারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে।

৭) শ্রীমত্যা:- এটি বিধবা নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।হিন্দু শাস্ত্রে যেকোনো নারীর স্বামীর মৃত্যুর পর তাকে বিধবা বলে দুঃখ না দিয়ে তাকে নামের আগে শ্রীমত্যা উপাধি দ্বারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে। তবে নিমন্ত্রণ পত্রের বাইরে সেভাবে ব্যবহার নেই বললেই চলে নতুন সমাজ বাবস্থাতে।

৮) শ্রীমৎ :- এটি সন্ন্যাসীর নামের পূর্বে ব্যবহৃত হয়।যে সমস্ত ব্যাক্তি গেরুয়া বস্ত্র ধারণ করেন এবং বাল্যকাল থেকে ঈশ্বরের উপাসনা করেন।এবং যারা মানব কল্যাণের জন্য তার জ্ঞান সকলকে প্রদান করে তাদেরকে শ্রীমৎ উপাধি দ্বারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে।

৯) শ্রীপাদ :- এটি বৈষ্ণব ও শৈব অবধূত বা ধর্মাচার্যগণকে ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।যে সমস্ত ব্যাক্তি গেরুয়া বস্ত্র ধারণ করেন এবং তারা বাল্যকাল থেকে গুরুকুল বা ধর্মীয় পাঠশালাতে ধর্মীয় জ্ঞান প্রদান করেন ও সমাজ কল্যাণের পথে শিক্ষার্থী দের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে তাদেরকে শ্রীপাদ উপাধি দ্বারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে।

১০) ১০৮ শ্রী :- এটি বিভিন্ন আখড়ার মঠাধ্যক্ষ বা দৈব ক্ষমতা সম্পন্ন সাধকদের নামের পূর্বে ব্যবহৃত হয়।

লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে?