ভিনগ্রহীদের বিষয়ে সবথেকে জোরালো প্রমাণ বোধহয় সামনে এসেছিল ২০০৪ সালে। কি প্রমাণ? মোবাইলে পড়তে হলে স্ক্রল করুন নিচে...

রহস্যময় ভিনগ্রহী – পর্ব দুই

ভিনগ্রহীদের বিষয়ে সবথেকে জোরালো প্রমাণ বোধহয় সামনে এসেছিল ২০০৪ সালে।সে বছর লাদাখ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতি অঞ্চলের একটি ঘটনা ভিনগ্রহীদের বিষয়ে সরকারকে এবং অবিশ্বাসীদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। ঘটনাটি লাদাখের প্রত্যন্ত প্রদেশের কোন ‘হ্যালুসিনেশান’ আক্রান্ত জওয়ানের সামনে ঘটেনি, ঘটেছিল ভারতের প্রথম সারির বিজ্ঞানীদের সামনে।

হায়দ্রাবাদের ইসরোর স্পেশ অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের পাঁচজন জিওলোজিস্ট এবং গ্লেসিওলোজিস্ট লাহুল স্পিতির সমুদ্র টাপু এলাকাতে গবেষণার কাজ করছিলেন। তাদের নেতা ছিলেন স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ডঃ অনিল কুলকার্নি। কাজ করার সময়ে তারা দেখেন তাদের থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে একটি রোবোটাকৃতি বস্তু। কুলকার্নির দলের থেকে কিছুটা দুরত্ব বজায় রেখে বস্তুটি চলছিল। বিজ্ঞানীরা ওই চলমান বস্তুটির ছবি তোলেন, ভিডিওগ্রাফিও করেন। প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে রোবোটাকৃতির বস্তুটি চেহারা বদলায় এবং মাটি থেকে ওপরে উড়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। ডঃ কুলকার্নি তার দলের ১৪ জন যারা ওই ঘটনাটা দেখেছিল তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদাভাবে ইন্টারভিউ নেন। এরপরে তিনি ঘটনাটির পুংখানুপুংখ বিবরণ, ছবি এবং ভিডিও দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, ইসরো, সেনাবাহিনী এবং বিভিন্ন গুপ্তচর সংস্থাকে দেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য হাতের ইশারায় ঘটনাটি চাপা পড়ে যায়। ডঃ সুনীল ধর ২০০৪ সালের ওই রিসার্চ টিমের অংশ ছিলেন। সেদিনের সেই ঘটনার সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডঃ ধর বলেন, “সে দিনটি আজও আমার কাছে স্মরনীয়। যা দেখেছিলাম সেটি অবশ্যই এ পৃথিবীর কোন বস্তু নয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে এরকম ঘটনা ওই এলাকাতে কোন নতুন ঘটনা নয়। এলাকার বাসিন্দারা প্রায়ই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।

২০১৩ সালেও এই আশ্চর্যজনক আলোকিত বস্তু লাদাখের ডেমচাক এলাকায় আবার দেখা যায়। সেনাবাহিনী এবং আইটিবিপি ঘটনা নথিবদ্ধ করে রিপোর্ট পাঠায় কিন্তু কোন এক অজানা কারনে এই বিষয়ে কোন রকম তদন্ত আজও ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

Series Navigation<< রহস্যময় ভিনগ্রহী – পর্ব এক

লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে?

লেখক পরিচয় |

Start typing and press Enter to search