ঈশ্বর হাঁটিতেছেন।
ঈশ্বর হাঁটিতেছেন দেহ কাঁধে লইয়া। আশ্চর্য্যের বিষয়, প্রলয় হইতেছে না। দেহটি সতীর নহে, ঈশ্বরের আত্মজার। তথাপি প্রলয় ঘটিল না। নশ্বর মানুষ বলিবে আরে এই ঈশ্বর সেই ঈশ্বর নহেন। এ ঈশ্বর নেহাতই ঈশ্বর দাস, ছত্তিশগড়ের সরগুজার আমডালা গ্রামের বাসিন্দা। কাঁধের দেহটি তাঁহার আত্মজা সাত বছরের সুরেখার দেহ। কয়েকদিন যাবৎ জ্বরে ভুগিতেছিল সুরেখা। স্থানীয় লক্ষনপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাহাকে লইয়া গিয়াছিলেন পিতা ঈশ্বর। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শিশুটিকে বাঁচাইতে পারেন নাই। কন্যার দেহ আনিবার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোন গাড়ি জোগাড় করিতে পারেন নাই ঈশ্বর। বেসরকারি গাড়ির খরচ জোগাইবার ক্ষমতা তাঁহার নাই। অতএব …
অতএব হন্টন। কন্যার দেহ কাঁধে লইয়া ঈশ্বর চলিতেছেন। গৃহ এবং তাহার পর শ্মশান। কি প্রয়োজন থাকে এই দেশের ? কিসের জন্যই বা প্রশাসন? একজন মন্ত্রীর কনভয়ে বিশটি গাড়ি লইয়া চলিতেছে একজন ভিআইপিকে। আর তাহাকে ভোট বৈতরনী পার করানো ঈশ্বর চলিতেছেন দেহ কাঁধে, হাঁটিয়া।
প্রলয়? না, ইহা কলিকাল।