সারি সারি গাছ, বকুল ফুল
সন্ধ্যাবেলা আলো আবছায়া
১৪ নং কল্যাণী ডান দিকে স্কুল
৭টা বাজতেই বন্ধুকে বলি
চল এবার বেরবে ।
টিউশন শেষে পি কে
স্যার সব খাতা গোছাবে।।
আর একজন আস্তে করে
ফর্সা হাতে গ্রিল খুলবে ।
ঠিক তখনি
দূরে আলোক বর্ষর
ফেলে আসা তারা
কৌশানি চাঁদের আলোর ভারা
মায়ায় কেমন দিলো ভাসিয়ে।
এবং আমার হৃৎপিণ্ড
ধুম করে স্তব্দ ,এতো মুখ
কেনো ঘামছে দরদরিয়ে।।

ও আসছে …..

সেই লাল সাইকেল
কাঁধে ব্যাগ শান্তিনিকেতনি।।
মামুলি গড়ন তবে চুলে বিনুনি।
কপালে টিপ, ঐ হাল্কা প্রসাধনী।।
আমার চিঠি বুক পকেটে করে
ঘুরছে আজ বাইশ দিন ধরে।।
আজ দেবই সে যেমন করে
আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায় ও
বুকফাটা আর্তনাদে আমার চিৎকার
পৌঁছে যায় মহাকাশে ,তবু শোনেনা ও

….. সিমি তোকে ভালোবাসি

নুড়ি পাথরের রাস্তায় আঁধারে
হোঁচট খাই বারবার , ছিন্ন
আমার চিৎকার কি চলে
যায় কোনো ব্ল্যাক গহ্বরে ??
…….
আজ প্রায় তিরিশ বছর
দুরে থেকে দেখে ফেলা
সিমি ছেলে আর ওর বর।
কষ্ট লাগেনা, শুধু জিজ্ঞাসা
একটাই মহাকাশের কাছে ।।
এখনো কি চিৎকার পৌঁছায় তোমার কাছে
না সব গিলে নাও কৃষ্ণ গহ্বরে।
আজও তো আমি ডেকে চলি
সেই একই আর্তনাদে….

“সিমি তোকে ভালোবাসি “

লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে?