সায়েন্সের স্পেশাল – এপ্রিল ২৩
ভিনগ্রহী সন্ধানে ‘জুস’
ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট, এরিয়েন ৫-এ চেপে এ বছর মহাকাশে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তৈরি মহাকাশযান, `জুস’। পুরো নাম, ‘জুপিটার্স আইসি মুন এক্সপ্লোরার’। ৮ বছর একাই দৌড়ে তার পৌঁছোনোর কথা সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির পাড়ায়। যাত্রা সফল হলে জুস খুব কাছ থেকে দেখে আসবে বৃহস্পতির তিন উপগ্রহ ইউরোপা, গ্যানিমিড আর ক্যালিস্টো কে। বৃহস্পতির এই খুদে ঠাণ্ডা উপগ্রহগুলোয় প্রাণের উপযোগী পরিবেশ আছে। জুস-এর কাজ হবে, তারই খোঁজে দিবা-রাত্র এক করা। বৃহস্পতি গ্রহ। অন্যটা এরিয়েন-এ রকেট
ইউরেনাসের ফটো
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অত্যাধুনিক জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ তুলেছিল তুষার-দৈত্য নেপচুনের ফটো। এ বছর সে ক্যামেরায় ধরেছে সৌরজগতের বরফে ঢাকা সপ্তম গ্রহ দৈত্যাকার ইউরেনাস-কে। ইউরেনাসকে ঘিরে মোট তেরোটি বলয় আছে বলে আমরা জানি। ওয়েব-এর তোলা ফটোয় তার মধ্যে এগারোটি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ইউরেনাসের সাতাশটি উপগ্রহের অনেকেই খুব ছোট হলেও ফটোয় ধরা পড়েছে। ইউরেনাসকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেক দিনের। আগামী দিনে তাই তাকে আরও খুঁটিয়ে দেখতে চান তাঁরা।
‘টেম্পো’ অভিযান!!!
মার্কিন মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসা বানিয়েছে একটা যন্ত্র। নাম রেখেছে, ‘দ্য ট্রোপোস্ফেরিক এমিশন্স: মনিটরিং অফ পলিউশন’। সংক্ষেপে ‘টিইএমপিও’ বা টেম্পো। গত ৭ এপ্রিল টেম্পোকে একটা রকেটে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দূর আকাশে। সেখানে নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবীকে আবর্তন করতে করতে টেম্পো নজর রাখবে উত্তর আমেরিকার আকাশ বাতাসে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় সে মেপে চলবে বাতাসে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা। ট্রাফিক জ্যামে দূষণ কত বাড়ে, কোন এলাকায় কখন দূষণের মাত্রা কত, সবই সর্বসাধারণকে জানাবে টেম্পো। সঙ্গে জানার চেষ্টা করবে সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য কিছু জটিল প্রশ্নের উত্তর যেমন, তড়িৎচমকের প্রভাব ওজোন স্তরে কতটা পড়ে ইত্যাদি।
মাটির তলাতেও এভারেস্ট????
আমেরিকার নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক টানা তিন বছর আন্টার্কটিকায় গবেষণায় ব্যস্ত ছিলেন। সম্প্রতি জানা গেছে সেই গবেষণার ফল। এঁরা বুঝতে পেরেছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রকে আবৃত করে নাকি আছে একটি বিশেষ স্তর। সম্ভবত ওই স্তরে আছে গলিত লোহা ও কার্বন। ওঁদের আরও দাবি, এই স্তরের কোনও কোনও অংশের উচ্চতা মাউন্ট এভারেস্টের চেয়েও বেশি। কিছু দিন আগেই জানা গেছিল, পৃথিবীর কেন্দ্রে যত স্তর আছে বলে আমরা জানি, আসলে আছে তার চেয়ে বেশি। এই যেমন একটির অস্তিত্ব টের পাওয়া গেল, এ ভাবেই ভবিষ্যতে হয়তো জানা যাবে অন্য আরও একবা একাধিক স্তরের কথা। শিল্পীর কল্পনায় পৃথিবীর অভ্যন্তর