মহারাষ্ট্রে তরঙ্গের খোঁজ
ব্রহ্মান্ডে বিপুল আকারের মহাজাগতিক বস্তু, যেমন কৃষ্ণগহবররা একে অন্যকে ধাক্কা দিলে তৈরি হয় অদৃশ্য মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। তাকে ধরতে পেরে পরখ করলেই জানা যায় তরঙ্গের উৎসের হাল হকিকত। এ হেন গুরুত্বপূর্ণ না করার জন্য এত দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২টি যন্ত্র ছিল। লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েত অবস্থারভেটরি (সংক্ষেপে এলআইজিও বা লাইগো) নামের এই যা এবার তৈরি হবে ভারতের মহারাষ্ট্রে ২০০০ কোটি টাকা খরচ করে ২০০০ সালের মধ্যে এটি তৈরির ইচ্ছে গবেষকদের। ভারতের লাইগো তৈরি হয়ে গেলে তা পৃথিবীর অন্যান্য লাইগো-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহাকাশ গবেষণায় নিত্যনতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, এমনটাই আশা।

তারার মৃত্যু এবং এক্সরে
তারা মরে গেলে যে মহাজাগতিক বিস্ফোরণ হয়, তাকে বলে সুপারনোভা। ব্রহ্মাণ্ডে এমন সুপারনোভা অসংখ্য। আমরা যে ছায়াপথে (গ্যালাক্সি) থাকি, তাতেও একাধিক সুপারনোভা আছে। সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৩১টি কাছে দূরের সুপারনোভার উপর নজর রেখে দেখেছেন, ওদের থেকে বেরোনো তীব্র এক্স-রে ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে বহু দূরদূরান্ত অবধি। ছড়ায় বহু বছর ধরে। অদৃশ্য এবং ভীষণ ক্ষতিকর এই ধরনের রশ্মি পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য গ্রহে ডেকে আনতে পারে গণবিলুপ্তি। পৃথিবী তার দীর্ঘ জীবনকালে এ রকম: ক্ষতিকারক রশ্মির আছড়ে পড়া প্রত্যক্ষ করেছে আগেও। ভয় এটাই যে, এমন দুর্ঘটনা ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

চাঁদের বুকে বাড়ি
পৃথিবী থেকে এক বোতল পানীয় জল চাঁদে নিয়ে যেতে এখন খরচ পড়বে প্রায় ২ লক্ষ মার্কিন ডলার। ফলে কেউ যদি ভাবে, চাঁদের বুকে পরীক্ষাগার বানাবে পৃথিবী থেকে জল মাটি ইট কাঠ নিয়ে গিয়ে— সে ভাবনা মোটেই পাত্তা পাবে না বিজ্ঞানীদের কাছে। চিনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি বলেছেন, চাঁদে পরীক্ষাগার: কিংবা ঘর-বাড়ি বানাতে গেলে বানাতে হবে ওখানে বসেই থ্রিডি প্রিন্টারের সাহায্যে। ২০০০ সালের মধ্যে চিন চাঁদে বানাতে চায় ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন। চাঁদে পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই। তাই ওখানে কোনও নির্মাণকাজে হাত দেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে, চাঁদের গা ছুঁয়ে যাওয়া ক্ষতিকারক মহাজাগতিক রশ্মির বিপদের কথাটাও।

রকেটের সফলতার হিসেব ‘ব্যর্থতা’তে
ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্স তৈরি করেছে এই গ্রহের বৃহত্তম মহাকাশযান, ‘স্টারশিপ’। এই যান দফায় দফায় মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যাবে এবং ফিরিয়েও আনবে, এই ছিল স্পেস এক্স-এর প্ল্যান। সম্প্রতি স্টারশিপের প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান শুরুর কিছু ক্ষণ পরই দেখা দেয় যান্ত্রিক ত্রুটি। ফলে সহজদাহ্য জ্বালানিতে ভর্তি যানটাকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ছাড়া নির্মাতাদের কাছে ভিন্ন পথ ছিল না। তা হলে কি এত বড় আয়োজনের সমস্তটাই মাটি? স্পেস এক্স-এর ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, আর কিছু না হোক, রকেট কিছু গন্ডগোল করলে আস্ত যানটাই উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাটা যে ঠিকঠাক কাজ করছে— সেটুকু তো পরীক্ষা করা গেছে! সে-ও কি কম! 😲

লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে?